অনেকেই জানেন না কিভাবে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু পণ্য আমদানির করার প্রোয়জন কম বেশি সকলের তাকে। জেনে নেওয়া যাক কিভাবে পণ্য আমদানি করা করা যায় এবং তার নিয়মাবলী।
বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে যা যা করতে হবে-
১. পণ্য আমদানি করার আগে আপনাকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কি ধরনের পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে চাচ্ছেন? উক্ত পণ্যটি আমদানি করা লাভজনক হবে কিনা ? এবং পণ্যটি বৈধ কি না ?
২. সব কিছু যদি আপনার অনুকূলে থাকে তবে এবার প্রথমেই আপনাকে আমদানি লাইসেন্স করতে হবে ।
আমদানি লাইসেন্স করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
ক) ট্রেড লাইসেন্স
খ) চেম্বার অথবা স্বীকৃত ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের বৈধ সদস্যতা সনদপত্র
গ) TIN সার্টিফিকেট
ঘ) ব্যাংক স্বচ্ছলতা সনদ
ঙ) পাসপোর্ট সাইজের ছবি
এগুলো থাকলে আপনি আমদানি ও রপ্তানী নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে আমদানি লাইসেন্স করে নিতে পারবেন।
৩. আমদানি লাইসেন্স পাওয়ার পরে এবার আপনাকে রপ্তানি কারক দেশ থেকে একজন বিক্রেতা খুঁজতে হবে। নিজে নিজে কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিন। যেহেতু আপনি দূরে থেকে পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারটি পরিচালনা করবেন, সেহেতু আগে থেকেই নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানটির অর্থনীতি এবং পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। সবচেয়ে সহজ উপায় অনলাইনে সার্চ করা।
এছাড়া বর্তমানে যে সমস্ত ব্যক্তি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করছে তাদের থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার পছন্দ মাফিক বিক্রেতা এবং সরবরাহকারী পেলে তার থেকে পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করতে হবে।
৪. বিক্রেতা আপনার অর্ডার অনুসারে আপনাকে একটি প্রফরমা ইনভয়েস পাঠাবে। উক্ত ইনভয়েসে পণ্যের পরিমান, মূল্য এবং সরবরাহের তারিখ ইত্যাদি তথ্য থাকবে।
৫. উক্ত বিক্রেতা পণ্য পাঠানোর আগে হয়ত আপনার থেকে আর্থিক নিরাপত্তা চাইতে পারে। এটি বিক্রেতার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা সনদ। একজন বিদেশি বিক্রেতা আপনাকে কখনো দেখে নাই এবং সে আপনার সাথে আগে লেনদেনও করে নাই তাই সে এটা নিশ্চিত হতে চাইবেন। কেননা, সে যদি আপনাকে পণ্য পাঠিয়ে দেয়ার পরে যদি আপনি টাকা না দেন তবে সে যেনো উক্ত টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে পারে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, আর্থিক নিরাপত্তা সনদ হল আপনার প্রতিনিধি হিসাবে ব্যাংক বিক্রেতাকে এই নিশ্চয়তা দেয়া, যে আপনি যদি টাকা নাও দেন তবে ব্যাংক উক্ত টাকা পরিশোধ করবে। তাই বিক্রেতা হয়ত আপনার থেকে আর্থিক নিরাপত্তা সনদ চাইতে পারে। আর্থিক নিরাপত্তা চাইলে আপনাকে ব্যাংক থেকে বিক্রেতার নামে একটি আর্থিক নিরাপত্তা সনদ খুলে দিতে হবে।
৬. এরপর আর্থিক নিরাপত্তা সনদের কাগজ বিক্রেতার কাছে পাঠাতে হবে। এরপর বিক্রেতা আপনার পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা করবে ।
৭. বিক্রেতা পণ্য ট্রাকে বা জাহাজে বা বিমানে লোড করার পরে উক্ত পরিবহণ প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রেতাকে একটি বহনপত্র বা চালানি রশিদ প্রদান করবে। উক্ত বহনপত্র বা চালানি রশিদ বিক্রেতা আপনাকে মেইল করে পাঠিয়ে দিবে।
৮. পণ্য বাংলাদেশে পৌঁছালে আপনাকে আমদানি লাইসেন্স, চালানি রশিদ এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের কাগজপত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র সাথে নিয়ে কাস্টমস থেকে পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে হবে।
Discussion about this post