বিশ্বের সবচেয়ে দুর্লভ ও দামি হীরকখণ্ডগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় ব্লু ডায়মন্ড ‘দ্য বিয়ারস কালিনান’কে। আগামী এপ্রিলে হংকংয়ে হীরকখণ্ডটি নিলামে তুলবে বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোদবি’স।
‘দ্য বিয়ারস কালিনান ব্লু’। আগামী এপ্রিলে নিলামে ওঠানো হবে বিশ্বের সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য ও বিরলতম এই ব্লু ডায়মন্ড। ১৫ ক্যারটেরও বেশি ওজনের এ হীরা বিক্রি হতে পারে ৪১২ কোটি টাকারও বেশি দামে।
এর দাম হাঁকা হবে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৪১২ কোটি টাকা। তবে এর থেকেও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার আশা করছে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান।
এর মধ্যে দিয়ে নিলামে ওঠা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং দামি ব্লু ডায়মন্ড বা নীল হীরার তালিকায় নাম উঠে যাবে দ্য বিয়ারস কালিনান-এর।
২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কালিনান খনি থেকে উত্তোলন করা হয় ব্লু ডায়মন্ড দ্য বিয়ারস কালিনানকে। দুষ্প্রাপ্য সব হীরকখণ্ডের জন্য বিখ্যাত এই খনিটি।
বিশ্বের অল্প যে কটি খনিতে ব্লু ডায়মন্ড পাওয়া যায়, তাদের মধ্যেও অন্যতম এই কালিনান খনিটি। ১৯০৫ সালে ৩ হাজার ১০৬ ক্যারটের কালিনান ডায়মন্ড নামের বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরকখণ্ডটিও পাওয়া যায় এখান থেকে।
এ ব্যাপারে সোদবি’স-এর সেলস ডিরেক্টর ফ্রাংক এভারেট বলেন, এই হীরাটি বিরল এর আকৃতির জন্য। এর সাইজ ১৫ ক্যারটেরও বেশি। এটি সম্পূর্ণভাবে নীল ও খুঁতহীন। পাশাপাশি ব্যতিক্রমী কাটিংয়ের জন্যও অনন্য দ্য বিয়ারস কালিনান। নিলামে ওঠা সবচেয়ে বেশি দামের ব্লু ডায়মন্ড হতে যাচ্ছে এটি। আকার ও দুষ্প্রাপ্যতার কারণেই এর এত দাম। বিশ্বে আর কখনোই এত বড় ব্লু ডায়মন্ড দেখা যায়নি।
এদিকে ব্লু ডায়মন্ড দ্য বিয়ার কালিনান ব্লুকে ‘আ ফ্যান্সি ভিভিড ব্লু’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য জেমোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট অব আমেরিকা। যেকোনো হীরকখণ্ডের গ্রেড বিবেচনায় যা সর্বোচ্চ।
২০১৪ সালে নিউইয়র্কে সোদবি’স-এর নিলামে ‘মেলোন ব্লু ডায়মন্ড’ নামের অপর একটি ব্লু ডায়মন্ড বিক্রি হয় ৩ কোটি ২৬ লাখ ডলারে বা ২৮০ কোটি টাকায়। এর পরের বছরই জেনেভায় সোদবি’স-এর নিলামে ৪১৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয় ‘দি ব্লু মুন অব জোসেফাইন’ নামের অপর একটি নীল হীরা।