বর্তমানে প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ ডলারে।বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনার তৃতীয় ঢেউ তেলের বাজারে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত তেল অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম।
যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বিগত সাত বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়ে বর্তমান বাজারে তেলের দাম সর্বোচ্চ স্থান দখল করে আছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে প্রতি ব্যারেল ৯৪ দশমিক ৪৪ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর ৯৩ দশমিক ১০ ডলার।
দাম বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয়কে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তেলের জোগান না থাকা, ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত এবং অস্থিতিশীল বিশ্ববাজারকে দায়ী করা হচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্বাভাসমতে, এ বছর বিশ্বে তেলের চাহিদা দিনে ৩২ লাখ ব্যারেল বেড়ে সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেলের জোগান বাড়িয়ে অনিশ্চিত বাজার কিছুটা শান্ত করতে পারে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। আর হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ। এর আগে জানুয়ারি মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ। আর হিটিং অয়েলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের ওপরে।
তেলের বাজারের এই লাগামহীন অবস্থায় অনেক অর্থনীতিবিদই মনে করছেন, অতি শিগগিরই তেলের দাম ১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।