ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে তিস্তার পানির ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে প্রকল্প এলাকার বোরো চাষিদের। কিন্তু সেচের আওতার ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমির অর্ধেকের বেশি এলাকার কৃষক এবারও পানিবঞ্চিত। ডিজেল বা বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের ওপর ভর করে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা টানতে হচ্ছে তাদের।
পানির প্রাপ্যতা চাহিদার চেয়েও বেশি। তারপরও দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ থেকে পানি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকেরও কমে নামিয়ে আনা হয়েছে। অবকাঠামোগত ভঙ্গুরতার কারণে সেটুকুও ঠিকভাবে না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকের। এতে ডিজেল বা বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের ওপর ভর করে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা টানতে হচ্ছে তাদের। তবে কৃষকের অভিযোগ মানতে নারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কৃষকরা বলেন, ‘এখন আমরা পানি পাই না। এখানে তিস্তার সেচ নেই। আমাদের মোটর ও শ্যালো দিয়ে পানি দিতে হয়। পানি না পেলে আবাদ কী করে হবে?’
যেসব এলাকায় এবার সেচ দেওয়া হচ্ছে, সেসব এলাকায়ও ভঙ্গুর অবকাঠামোর কারণে ঠিকভাবে পানি না পাওয়ার অভিযোগ কৃষকের। তারা বলেন, স্কিমের পানি, গভীর মেশিনের পানি ও মোটরের পানিতে ১০০০-১২০০ টাকা ব্যয় হচ্ছে। পানি ঠিকভাবে না দেওয়ার কারণে অনেক কষ্ট হয়। পৌষ মাসে পানি দেয়। তবে চৈত্র মাসে পানি দেয় না। কারণ, পানি থাকে না।
তবে কৃষকের অভিযোগ মানতে নারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দাবি, এবার গড় পানিপ্রবাহ ৩ হাজার ৩০০ কিউসেক। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে মাত্র ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি ব্যবহৃত হচ্ছে।
রংপুরের উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, তিস্তা নদীতে বর্তমানে পানিপ্রবাহ আছে ৩ হাজার ৩০০ কিউসেক। আমরা সেচ কাজে ব্যবহার করছি ১ হাজার ১০০ কিউসেক। সুতরাং সেচ কাজের জন্য পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ রয়েছে।