ভাগ্য ফিরেছে এক দম্পতির দিনাজপুরের বিরামপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে করে। বর্তমানে তার ফার্মে ৫০০ খড়ের স্পন প্যাকেট রয়েছে। আর এ স্পন থেকে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুম বিক্রি করে প্রতি তিন মাসে আয় করছেন প্রায় লাখ টাকা।
মেহেরুনেসা বিরামপুর পৌর এলাকার মির্জাপুর গ্রামের জামিনুর ইসলামের স্ত্রী। এক সময় স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করে সংসার চালাতেন। ২০২১ সালের করোনা ভাইরাসের প্রকোপ তাদের ব্যবসায় হানা দিলে ব্যবসার সব পুঁজি হারিয়ে ফেলেন এই দম্পতি।
তারপর থেকেই তাদের সংসারে নেমে আসে অভাব-অনটন। তখন নিঃস্ব হয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় গ্রামের বাড়িতে। বেশ কিছুদিন বেকার থাকার পর স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে, দিনাজপুর হর্টি কালচার থেকে ১৮৩ টি ওয়েস্টার জাতের মাশরুমের স্পন নিয়ে বাড়ির ভিতরে ৩টি রুমে শেড তৈরি করে গড়ে তোলেন মাশরুম চাষ কেন্দ্র।
তাদের মাশরুম খামারের নাম ফোর এস এগ্রো ফার্ম। তারপর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি এই দম্পতিকে। এখন প্রতি তিন মাস পর পর তাদের আয় প্রায় ১ লাখ টাকা।
২০২১ সালের নভেম্বর গ্রামে বাড়িতে ১৮৩টি স্পন প্যাকেট দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় ওই বাড়ির ৩ টি ঘরে ৩ টি সেড তৈরী করেন। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন মাশরুম ফার্ম।
তারা বলেন,ন, ‘বাহিরেও আমাদের মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খামার আরও বড় করতে পারলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে পারতাম। আমাদের এখন প্রয়োজন কৃষি ঋণ বা সরকারি সহায়তা।’
প্রতিদিন তাদের মাশরুমের খামার দেখতে অনেকেই আসেন বলে জানান মেহেরুননেসা।
এ বিষয়ে মেহেরুননেসার স্বামী জামিরুল ইসলাম জানান , ‘যখন ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে আসলাম তখন যেন দুশ্চিন্তা আমার পিছু ছাড়ছিল না।
স্ত্রীর পরামর্শে সফলতা আসবে কখনোই ভাবতেই পারেনি। আল্লাহ দিলে এখন অনেক লাভবান আমরা। অনেক সুখে দিন কাটছে আমাদের।’