চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার আউটার রিং রোডের আশপাশে সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস। এই এলাকায় ৯টি মৎস অবতরণ কেন্দ্র (ফিশারি ঘাট), ৩টি যাতায়াতের সড়ক রয়েছে। এসব ঘাটের ওপর নির্ভরশীল ৪ হাজার ১০৫ জন নিবন্ধিত জেলে। এছাড়া সাগর পাড়ে রয়েছে একাধিক গোচারণভূমি।
দুই হাজার ৬৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটির কাজ শেষ না হলেও ২০২১ সাল থেকে এই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
ব্যস্ত মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য কোনো স্পিড ব্রেকার, ওভারপাস, আন্ডারপাস বা স্ট্রিটলাইট না থাকায় চট্টগ্রামের আউটার রিং রোডটি আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জেলে, গবাদিপশু পালনকারীসহ নগরীর ৮টি ওয়ার্ডের ১৫ লাখ মানুষকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ভাবা হয়নি লাখ লাখ পর্যটকের সুরক্ষার কথাও। এই দীর্ঘ সড়কে দুই পাশে চলাচলকারী এসব মানুষের জন্য রাস্তা পারাপারের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। পথচারীদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপও। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে নেই স্পিড ব্রেকার, স্ট্রিটলাইট।
ফলে এ সড়কে যান চলাচল শুরু হওয়ার এক বছরে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল ছাত্র এবং পর্যটকসহ ২০ এরও বেশি মানুষের।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) এক সমীক্ষায় চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে এবং ভবিষ্যত টেকসই যোগাযোগ নিশ্চিতে সমুদ্র তীরবর্তী ট্রাঙ্ক সড়ক সংযোগ উন্নত করার সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে সাগরের তীরবর্তী বেড়িবাঁধের ওপর আউটার রিং রোড নির্মাণের প্রকল্প নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
২০১৩ সালে একনেক প্রকল্পটির অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালে কাজ পুরো সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও দুটি ফিডার সড়কের কাজ এখনো বাকি।
দুই হাজার ৬৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটির কাজ শেষ না হলেও ২০২১ সাল থেকে এই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।