ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে। রাশিয়া উত্তেজনার মধ্যেই বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে।ফলে রাশিয়ার তেল রফতানি বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বব্যাপী আর্থিক সেবাদানকারী সংস্থা জেপি মরগান অনুমান করছে, ইউক্রেন ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিস্তীর্ণ প্রভাব সারা বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতিতে ক্লান্ত ভোক্তারাও অনুভূব করবেন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেপি মরগানের গ্লোবাল কমোডিটি কৌশলের প্রধান নাতাশা কানেভা একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, অন্যান্য অঞ্চলে কম ধারণক্ষমতার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া থেকে তেলের সরবরাহে যে কোনো বাধায় সহজেই তেলের দাম ১২০ ডলারে উঠে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী আর্থিক সেবাদানকারী সংস্থা জেপি মরগান অনুমান করছে, ইউক্রেন ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিস্তীর্ণ প্রভাব সারা বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতিতে ক্লান্ত ভোক্তারাও অনুভূব করবেন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেপি মরগানের গ্লোবাল কমোডিটি কৌশলের প্রধান নাতাশা কানেভা একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, অন্যান্য অঞ্চলে কম ধারণক্ষমতার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া থেকে তেলের সরবরাহে যে কোনো বাধায় সহজেই তেলের দাম ১২০ ডলারে উঠে যেতে পারে।
তেল উৎপাদনে রাশিয়া অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার প্রভাব বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দামে পড়েছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাত বছরের সর্বোচ্চ পৌঁছে। সে দিন ব্যারেল প্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৯৪ ডলার। অবশ্য পরে তা কমে প্রায় ৯১ ডলারে নেমেছে।
জেপি মরগান বলছে, যদি রাশিয়ার তেল রফতানি অর্ধেকে নেমে আসে, তাহলে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৫০ ডলারে উঠে যাবে। এর আগে ২০০৮ সালের জুলাই মাসে তেলের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল। যে সময় রেকর্ড পরিমাণ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ১৪৭ দশমিক ৫০ ডলার ছিল।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিহিংসায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি অস্ত্রের মতো ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে। এতে প্রাকৃতিক গ্যাসের উচ্চ দামের প্রভাবে ইউরোপে কারখানা এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় তেলের চাহিদা বেড়ে যাবে।