টিসিবির পণ্য যেন এক বিরাট স্বস্তির জায়গা স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে। নিত্যপণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে বেড়েছে ভিড় কমেছে চড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দামও। আর এই ভিড় লড়াইয়েও রূপ নিচ্ছে। সেই সঙ্গে ট্রাকের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার মিছিলে মুখও বাড়ছে।
দেশে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব ভোগ্য পণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এ সময় প্রান্ত্রিক মানুষ সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ে।
সাশ্রয়ী মূল্যে চারটি খাদ্য পণ্য বিক্রি শুরু করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এসব পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থাটি।
প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
সোমবার সকাল থেকে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ কিনতে পারবেন স্বল্প আয়ের ভোক্তারা।টিসিবি ট্রাক সামনে আস্তে ট্রাকের সমানে দাঁড়িয়ে পড়ছে ক্রেতারা। দীর্ঘ লাইনে সময়ের পর সময় দাঁড়িয়ে ক্রেতা।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও লাইনে দাঁড়ানোর যুদ্ধ শেষে রেল ভবনের সামনে টিসিবির ট্রাক থেকে চিনি, ডাল ও তেল কিনে বেরিয়ে আসছেন।
ঢাকা্র রেলভবনের সামনে বুধবার টিসিবির ট্রাক থামতেই লাইনে কে কার আগে দাঁড়াবে, তা নিয়ে শুরু হয় লড়াই। বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে এভাবে লড়াই করেই কিনতে হচ্ছে কম দামে পণ্য।
বিশেষ বরাদ্দে প্রতিটি ট্রাকে তেল থাকবে ৭০০ লিটার, যা গত মাসে ছিল ৬০০ লিটার। মশুর ডাল ৫০০ কেজি, চিনি-১০০-৫০০ কেজি ও পেঁয়াজ ৩০০-৫০০ কেজি দেওয়া হবে।
ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে দুই থেকে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ও কেজি ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।