কৃষক নেতাদের অভিযোগ মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই ধানের ভরা মৌসুমেও দফায় দফায় চালের দর বাড়ছে বলে।
কৃষকরা পাচ্ছে না চলছে ধানের ভরা মৌসুম, অথচ প্রান্তিক পর্যায়ে হাটে ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম। আর চাল ব্যবসায়ীদের খোঁড়া যুক্তি ধানের সঙ্গে চালের দামের সমন্বয় রাখতেই দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের চালের মজুত ঠেকাতে মিল পর্যায়ে শিগগিরই তদারকির আশ্বাস স্থানীয় জেলা প্রশাসনের।
গত আমন মৌসুমে নওগাঁয় দুই লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। শুরুতেই কৃষকের কাছ থেকে স্বল্প দরে ধান হাট থেকে কিনে গুদামজাত করে মিলাররা। কিন্তু বাম্পার ফলনের পরও চলতি মাসে অন্তত ৩ বার বেড়েছে চালের দর । এতে বিপাকে সাধারণ মানুষ।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চালের দাম। এতে নিজেদের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
পর্যাপ্ত চাল মজুদের পরও বাড়তি দরের জন্য ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন কৃষক নেতারা।
নওগাঁ জেলার কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. মহনীন আলী বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে কালোবাজারিদের সুসম্পর্ক থাকার ফলশ্রুতিতে বাড়ছে চালের দাম এবং এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না।
তবে বাড়তি মুনাফার জন্য সিন্ডিকেট করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ মানতে নারাজ চাল কল মালিকরা।
এ অবস্থায় চালের বাজার সহনীয় করতে শিগগিরই মিল পর্যায়ে তদারকির আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমাদের ভোক্তা অধিকার আইন চালু রয়েছে। ক্রেতারা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রেখেছি।
খাদ্য বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় ৫৬টি অটো ও ছোট বড় সাড়ে ৭০০ হাসকিং মিল পরিচালনায় রয়েছেন ১১শ’ ব্যবসায়ী।