চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের তুলাতুলি বাজারের নদীতে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্ব জায়গা জুড়ে ঝোপের কচুরিপানায় নদীতে ভর্তি হয়ে আছে। উপজেলার সর্ব উত্তরে অবস্থিত চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের সবকটি গ্রামের মানুষ বারোমাসই নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
তুলাতুলি বাজার থেকে উপজেলার উত্তর অঞ্চলের মানুষ কিংবা নৌকাযোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে যাওয়ার একমাত্র পথ এ নদী। কিন্তু এলাকার কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী লোকজন নদীগুলোতে অপরিকল্পিত এবং বেআইনিভাবে নদীর মাঝখানে ও নদীর বেশিরভাগ অংশ জুড়ে মাছের ঝোপ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ফলে নদী হারিয়েছে তার স্বাভাবিক স্রোত, জমে যাচ্ছে পলিমাটি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সব যোগাযোগ।
অবৈধ প্রায় পাঁচ শতাধিক মাছের ঝোপের কারণে নদী পথে চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হাজার হাজার গ্রামবাসী ও জনগণ অবৈধভাবে মাছের ঝোপ থেকে আসা কচুরিপানায় জিম্মি হয়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় বলেন, সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব শিগগিরই সমাধানে যাব।
মেঘনা উপজেলা মৎস্য অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, মেঘনার চারদিকে অনেক আগে থেকেই অবৈধভাবে মাছ ধরার ঝোপগুলো দেওয়া আছে, আমি এর সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।