চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওয়ার্ড থেকে ওষুধ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক কর্মচারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া ৪ লাখ টাকার ওষুধ।সরকারি হাসপাতালে মেলে না বিনামূল্যে ওষুধ। উচ্চ মূল্যে তাই পাওয়া যায় ফার্মেসিতে।
সরকারি মেডিকেলগুলোতে রোগীদের জন্য কোটি কোটি টাকার ওষুধ বরাদ্দ থাকলেও তার সিকি ভাগও মিলছে না অসহায় রোগীদের ভাগ্যে। অথচ মেডিকেলের পাশে ফার্মেসিগুলোতে অবৈধভাবে প্রায়ই বিক্রি হয় সরকারি ওষুধ। এই ওষুধ চুরি ঠেকাতে পুলিশের প্রথম অভিযানে আটক হয়েছে মেডিকেলের কর্মচারী অপু চক্রবর্তী এবং তার সহযোগী মোহাম্মদ সৈয়দ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ।
সিএমপির উপ কমিশনার মোখলেসুর রহমান বলেন, আটক দুইজনের কাছ থেকে প্রায় চার লাখ টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধগুলো রোগীদের না দিয়ে অল্প অল্প করে তারা সেগুলো জমা করত। পরে সুযোগ বুঝে সেগুলো বিক্রি করে দিত।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, পুলিশের অভিযান চলছে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে তদন্ত করব। ওয়ার্ডগুলো থেকে কী পরিমাণ ওষুধ চুরি হয় তা বের করা হবে।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেলের সিনিয়র স্টোর অফিসার হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, মেডিকেলের ওয়ার্ড কর্মচারীদের পাশাপাশি এই চোরদলের সঙ্গে আউটসোর্সিংয়ে কমর্কর্তারাও জড়িত রয়েছে। প্রতিদিন একেকটি ওয়ার্ড থেকে অন্তত ১৫ হাজার টাকার ওষুধ চুরি হয়। মেডিকেলে এ ধরনের চোর সিন্ডিকেট রয়েছে ১২ থেকে ১৫টি। যাদের সন্ধানে পুলিশের অভিযান চলছে।
Discussion about this post