নদের বুকে বেড তৈরি চাষ করা হচ্ছে লাল শাক, সবুজ শাক, পুঁইশাক, ডাটা শাক, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, কচু শাক, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। এছাড়া ভাসমান বেডের ওপর মাচা (বান) করে লাউ ও চাল কুমড়ার চাষ করা হয়েছে। বিনামূল্যে বীজ, কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং সবজি বেড পরিচর্যা করার করার জন্য ডোঙ্গা নৌকা দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষক জানান ,সংসারের প্রয়োজন মিটিয়েও অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, হরিহর নদে কুচুরি ও শেওলায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। ওই নদীর তীরবর্তী মধ্যকুল রাজবংশী পাড়ার জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে না পেরে বেকার হয়ে পড়েন। এ সময় ওই নদীর কুচুরি ও শেওলাকে কাজে লাগিয়ে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ভাসমান বেডে সবজি চাষের ওপর মধ্যকুল রাজবংশী পাড়ার শতাধিক কৃষক-কৃষাণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষকরা নদীর কুচুরি ও শেওলা প্রথমে স্তুপ করে রাখেন। কুচুরি ও শেওলা পচে ধাপ তৈরি হলে তার ওপর সবজির বীজ বপণ করা হয়। মধ্যকূল এলাকায় ৩৬টি বেড তৈরি করে তার ওপর বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো সবজি বেড তৈরি করার প্রস্তুতি চলছে।
দের বুকে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন একদল কৃষাণ-কৃষাণী। যাদের বসতভিটা ছাড়া জমি নেই এমন কৃষাণ-কৃষাণী ওই নদীর কুচুরি ও শেওলা দিয়ে ধাপ তৈরি করে তার ওপর বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ করছেন।
Discussion about this post