প্রত্যাশার পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল বা পিসিটি আগামী জুনেই চালু হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টার্মিনালটি চালু হলে বছরে সাড়ে চার লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ভয়াল করোনা মহামারীর সংকটময় সময়ের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ কাজ চালিয়ে গেছে। আমাদের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকরোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তারপরও নানা প্রতিকূলতার মধ্যে শতভাগ কাজ চালিয়ে যেতে বন্দর বদ্ধ পরিকর। বর্তমানে বন্দরে ৫০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। তবে আজ ইয়ার্ডে ৩৯ হাজার টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে। অর্থাৎ বন্দরে এখন কোনো কন্টেনার জট নেই।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জনপ্রিয়তা রয়েছে। চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে জাহাজ চালু হয়েছে, এটা দু’দেশেরই বাণিজ্যিক প্রসারতার বড় সুযোগ। আমি মনে করি বাণিজ্যের পাশাপাশি দু’দেশের সুসম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস স্টুয়ার্ড হুইটলে বলেন, প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে পোশাক পণ্য নিয়ে জাহাজ চলাচল করবে, এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রশংসা রয়েছে।
করোনার কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, পোশাক খাতে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে, অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে। আমরা বাণিজ্যিকভাবে এর অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত।