অবৈধ সংযোগ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যে কড়াইল বস্তিতে আবারও দেওয়া হলো। পরিসংখ্যান বলছে, মাসে ১৫ কোটি টাকার বেশি অবৈধ গ্যাস বাণিজ্য হয় বস্তির ৩০ হাজার ঘর ও দোকানপাট থেকে। স্থানীরা বলছেন, এর সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক ব্যক্তি ও তিতাসের কর্মকর্তারা। তবে তিতাসের দাবি, তাদের কেউ জড়িত নয়।
মহাখালীর কড়াইল বস্তি ৩০ হাজার ঝুপড়ি ঘর নিয়ে।অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী-মহাখালীর পাশে গড়ে ওঠা বস্তি যেন তিতাসের সেবার অন্যতম এলাকা।
গত ২৬ এবং ২৭ জানুয়ারি দুদিনের অভিযানে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে কড়াইলের অবৈধ সংযোগ। কিন্তু মাত্র ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের আলাদিনের চেরাগের মাধ্যমে পুনরায় লেগে যায় গ্যাস সংযোগ।
বাসিন্দারা বলছেন, এক দিক দিয়ে কাটবে, এক দিক দিয়ে ঢুকবে। হয়তো তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে টাকা কম দিয়েছে। এ কারণে আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস লাইন কেটে দেওয়ার পর আবার এসে লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমরা তো গ্যাসের বিল ঠিকই দিচ্ছি।
অলিগলিতে পানির ঝুঁকিপূর্ণ পাইপ দিয়ে নেওয়া হয়েছে গ্যাস সংযোগ। চায়ের দোকান থেকে রেস্তোরাঁ এমনি বাসাবাড়ি সবখানেই জ্বলছে গ্যাস। স্থানীয়দের দাবি, ঘরপ্রতি আদায় করা হয় ৫০০ টাকা। এতে মাসে আয় দাঁড়ায় ১৫ কোটি টাকা ৷ এ ছাড়া চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৪০ টাকা ও রেস্টুরেন্ট থেকে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে সিন্ডিকেট চক্র।