রঙিন লাল বাঁধাকপি দেখতে সুন্দর। ভিতরে টুকটুকে লাল ও স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। এরই মধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন।
লাল বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। মতিয়ার রহমান গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে এর চাষ শুরু করেন। ৮০-৯০ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়।
৫ শতক জমিতে ৫৪০টি কপি হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার টাকা। বাজারে প্রতিটি কপি ৩০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি। এতে অন্তত ১০ হাজার টাকার কপি বিক্রি হবে।
তিনি আরও বলেন, যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি। লোকজন রঙিন জাতের কপি কিনতে বেশ আগ্রহী। অল্প টাকা খরচ করে আমি বেশ লাভ পেয়েছি। আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের কপির চাষ করব।
মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ছাবেরউদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, এর আগে এ এলাকায় লাল বাঁধাকপি দেখা যায়নি। বীজ বপনের অল্প সময়েই সারি সারি বাঁধাকপি জমিতে ছেয়ে যায়। ওপরের পাতা ছিঁড়ে ফেললেই বের হয়ে আসে লাল টসটসে বাঁধাকপি। সবুজের ভিতরে লালকপি এ উপজেলায় প্রথম। লাল বাঁধাকপি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। প্রথমবার চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন কৃষক মতিয়ার রহমান। অন্য কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
খাদেমুল ইসলাম জানান, এ জাতের কপির বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় আগামীতে এ উপজেলায় এর চাষ বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন। অধিক পুষ্টিকর লালিমা জাতের লাল বাঁধাকপি ফলনেও ভালো, দামেও ভালো। দেখতে সুন্দর ও স্বাদে হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। এটি চাষে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না।
স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েক দিন সংরক্ষণ করা যায়। বাজারে এই রঙিন বাঁধাকপির চাহিদাও বেশি। যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি লাভ। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Discussion about this post