অচল বেনাপোল স্থলবন্দর বাণিজ্যে নিরাপত্তার নামে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সীমান্তরক্ষী বিএসএফের নানা হয়রানির অভিযোগ এনে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে।
বন্দরে তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এতে জরুরি পণ্য আটকেপড়ায় শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় ধরনের লোকসান থেকে বাঁচাতে দ্রুত বাণিজ্য চালু করার।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে অধিকাংশ পণ্য পরিবহন হয় বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে। এত দিন কর্মচারীরা তাদের সংগঠনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বন্দরে আসা যাওয়া করত। তবে গত সপ্তাহে পেট্রাপোলের ম্যানেজার বিএসএফকে নির্দেশ দেয়, বন্দর বা কাস্টমসের স্বাক্ষরিত কার্ড ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
এদিকে পরিচয়পত্র তৈরিতে সময় চাইলেও তা দিতে নারাজ বন্দর ম্যানেজার। এ ছাড়া নিরাপত্তার নামে ট্রাক চালকদের শরীর তল্লাশি করে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে। এ কারণে দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ পণ্যবাহী ট্রাকের বদলে বাংলাদেশে ঢুকছে ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয় বনগাঁ ট্রাক ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানায় পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন। এতে গত ৩১ জানুয়ারি সকাল থেকে অচলাবস্থার মুখে বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ বলেছেন, আমরা বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। অচিরেই বিষয়টি সমাধান করে খুব দ্রুত বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হবে।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি জানিয়েছেন ,বাণিজ্য বন্ধ না করে বিকল্প পন্থায় সমস্যা সমাধান করে বাণিজ্য সচলের।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, সরকারের পক্ষে থেকে এখানে দৃষ্টি রাখা উচিত। যাতে করে ছোটখাটো বিষয়ে যখন-তখন বন্দর বন্ধ না হয়।