বরগুনার শুঁটকি উৎপাদনকারীরা বিপণন ও পরিবহন ব্যবস্থাসহ নানা সংকটে লোকসানের মুখে ।তারা উন্নত প্রশিক্ষণ ও নতুন বাজার তৈরির জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন। এদিকে শুঁটকি পল্লীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বরগুনায় শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় জেলার আশার চর এবং লালদিয়ার চরে পাঁচ শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষের ব্যস্ততা বাড়ে মাছের শুঁটকি তৈরিতে।
উৎপাদকরা জানান, শুঁটকি বিক্রির জন্য বরগুনায় কোনো বাজার নেই। এর জন্য চট্টগ্রামে পণ্য নিতে হয়। পাশাপাশি পরিবহন ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় খরচ বেড়ে যায়। আবার সনাতন পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করায় শুঁটকিতে বালি থাকায় দাম কমে যায়। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয় অনেক শুঁটকি।
শুঁটকি উৎপাদকরা বলেন, এ জায়গায় কেনাবেচার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। কোনো হাটবাজার কিছুই নেই। এখানের রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় শুঁটকি পরিবহনের সমস্যা হয়। বালির ওপর শুঁটকি করায় তার সঙ্গে বালি মিশে যায়, তাই শুঁটকির দাম কম। এদিকে মৌসুমের সময় বৃষ্টি হলে কোটি কোটি টাকার শুটকি নষ্টে হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
বরগুনার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এ অঞ্চলে শুঁটকি শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে হাতে কলমে ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার হবে। যাতে তারা এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন না হন। আমরা সে চেষ্টা অব্যাহত রাখব।
Discussion about this post