বাংলাদেশের অর্থনীতি মহামারির ধাক্কা সামলে ভালোভাবেই ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে। বিষয়টি রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতিই জানিয়ে দিচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা গত বছরের প্রথম মাসের তুলনায় ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।
এই রপ্তানি আয়ের বেশির ভাগই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ খাত থেকে আয় হয়েছে ৪০৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, যা জানুয়ারি মাসের পুরো রপ্তানির ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ।
রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি পূরণ হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে এ মাসে।
বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ইতিহাসে এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের উদাহরণ এটি। এর আগে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছিল সদ্য বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে। গত ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ছাড়া জানুয়ারি মাসে নিট ও উভেন দুই ধরনের পণ্য রপ্তানিই বেড়েছে। সাত মাসে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের নিট পণ্য রপ্তানি হয়েছে, তাতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সাত মাসে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে রপ্তানি আয়ে পিছিয়ে পড়ছে পাট ও পাটজাত পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৬৯ কোটি ৫০ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৩ কোটি ডলারের।
গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৭৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পাটপণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পাটপণ্য খাতে রপ্তানি আয় কমেছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬৮ কোটি ২৭ লাখ ডলারের। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।