ব্যাপক সফলতা এসেছে মৌলভীবাজারে পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদে। কৃষকরা বাড়তি আয় করছেন অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কম খরচে ও অতি অল্প সময়ে এ ফসল চাষে। কৃষি বিভাগ একইসঙ্গে সূর্যমুখীর চাষাবাদ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে।
কৃষক জানান,এক একর জমিতে প্রতি বছর ধান চাষ করতেন। কিন্তু লাভবান হতে পারছিলেন না। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে গেল বছর ৭৫ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেন। কম খরচ ও অতি অল্প সময়ে তার জমি সূর্যমুখীর হাসিতে ভরে উঠে।
তাই এ বছর অধিক উৎসাহ নিয়ে এক একরের পুরো জমিতে তিনি হাইব্রিড আর ডি এস জাতের সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ভালো ফলনে খুশি তিনি। এখন শুধু তার গ্রামেরই নন, পাশের একাধিক গ্রামের চাষিরা ব্যাপক আকারে সূর্যমুখী চাষ করছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, ২০১৬ সালে খুব অল্প জমিতে প্রাথমিকভাবে সূর্যমুখী চাষাবাদ শুরু হয়। এতে নানাভাবে উৎসাহ পেয়ে চাষ বাড়তে থাকে। এ বছর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘায় এবার লাভ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। জেলার শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলায় এর চাষ সবচেয়ে বেশি। এদিকে দৃষ্টিনন্দন সূর্যের হাসি দেখতে ভিড় করছেন অনেকেই।
সূর্যমুখী চাষ করার বিষয়ে কৃষকরা বলেন, আমি আশানুরূপ তেল পেয়েছি। তা আমি এক বছর খেয়েও কিছু বিক্রি করতে পেরেছি। সবাই সূর্যমুখী চাষ করলে ভালো ফল পাবে। তাই আমরা সূর্যমুখী চাষ করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, রবি মৌসুমে যে জায়গাগুলো পতিত থাকে, সে পতিত জায়গাগুলোতে কৃষক ভাইরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। ফলে বাড়তি একটি ফসল পাচ্ছেন। এবং এটি একটি লাভজনক ফসল।
কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছর জেলায় ৩২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদে উৎপাদনের আশা ৫৭৬ মেট্রিক টন বীজ।
Discussion about this post