প্রান্তিক পর্যায়ের গাছিরাব্যস্ত হয়ে পরেন বাংলা বর্ষপঞ্জির কার্তিক মাস, অর্থাৎ শীত মৌসুম শুরু থেকে খেজুর গাছ নিয়ে এই সময় থেকেই চলে তাদের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির ব্যস্ততা।
গাছিদের এ কর্মযজ্ঞ টানা ৫ মাস চলে। রস থেকে গুড় তৈরির প্রক্রিয়া জানতে গিয়েছিলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষিনির্ভর গাড়াবাড়িয়া গ্রামে।
শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যেই গাছে বাঁধা রসের ভাড় নামাচ্ছেন গাছিরা। সেই ভাড় বাইসাইকেলে নিয়ে মেঠোপথ ধরে ছুটে চলছেন তারা। নির্ধারিত স্থানে নেওয়া হয় সংগ্রহ করা রস। এবার চুলায় জ্বাল দিতে রস ঢালা হয় পাত্রে। সময় লাগবে অন্তত দুই ঘণ্টায়। টানা দুই ঘণ্টায় চলে রস জ্বাল দেওয়ার কার্যক্রম। চুলার ওপরে পাত্রে রস নাড়িয়ে নাড়িয়ে গুড়! আবহমান বাংলার সঙ্গে মিশে থাকা এ এক অসাধারণ দৃশ্য।
হাঁকডাকে গুড়ের প্রতি কেজি দাম ওঠে ১৬০-১৮০ টাকা পর্যন্ত।
তারা বলেন,‘সারা বছর এই শীতের সময়ের জন্য অপেক্ষা করি আমরা। শীতের এই সময়টাতে কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত ভোর থেকে রাত অব্দি এই গুড়ের পেছনেই সময় চলে যায়। যা থেকে ভালো উপার্জন হয়ে থাকে এবং সেই উপার্জনের বড় অংশ সংসারের কাজে লাগে।