কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে দামি ফল হিসেবে কাজুবাদামের পরিচিতি সবার কাছে। আমদানি নির্ভর এ ফলটি নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে।উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল বাশার চৌধুরী পাহাড়ে কাজুবাদাম চাষ বাড়তে দীর্ঘদিন কাজ করছেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ি মাটি, আবহাওয়া সবই কাজু বাদাম চাষের বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া পরিচর্যা ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অতিরিক্ত কোনো খরচ নেই। আর আগে দাম না পাওয়ার যে বিষয়টি ছিল সেটি এখন নেই।
হাবিবুল বাশার জানান, কাজুর বীজ থেকে চারা হয়। চারা লাগানোর তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ফল ধরে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে ফুল ধরে। ফল সংগ্রহ করা হয় মে মাসে। রোগ-বালাইও কম। আর একটি গাছে জাতভেদে ৪ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত বাদাম হয়। সাধারণত পেকে নিচে পড়ে গেলে সংগ্রহ করে শুকানো হয়। আর শুকালে ১ বছর রাখা সম্ভব।
কৃষি কর্মকর্তাদের আশাবাদ- কৃষকরা আন্তরিক পরিচর্যা করলে এখানে ভালো কাজুবাদাম উৎপন্ন হবে। লালমাই পাহাড়ে কাজুবাদামের চাষ বাড়লে দেশের কাজুবাদামের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলায় কাজুবাদামের চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে আদর্শ সদরে তিনটি স্থানে। সদর দক্ষিণে তথা লালমাই পাহাড় এলাকায় আটটি স্থানে কাজুবাদামের চাষ করা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইতে এ বাদামের চাষ শুরু করা হয়।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, লালমাই পাহাড়ে কাজুবাদাম চাষ পরিদর্শন করেছি। ফসলের অবস্থা ভালো। কৃষকরা আন্তরিক পরিচর্যা করলে এখানে ভালো কাজু বাদাম উৎপন্ন হবে। লালমাই পাহাড়ে চাষ বাড়লে দেশে কাজুবাদামের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।