মহামারির এ সময়ে কেউ হারিয়েছেন চাকরি। আবার কারও আটকে আছে বেতন। মহামারির এ সময়ে চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। মহামারির এ সময়ে চাল-ডালসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
এ অবস্থায় কঠোরভাবে বাজার তদারকির দাবি তুলেছেন ভোক্তারা। তবে মিলমালিকদের ওপর দায় চাপিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
এদিকে দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কমানো হয় আমদানি শুল্ক। এসেছে আমন মৌসুমের চাল। তারপরও টিসিবির হিসাবে, খুচরা বাজারে বর্তমানে এক কেজি মোটা চাল কিনতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে ভোক্তাকে। বছর ব্যবধানে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ দাম বেড়ে সরু চাল মানভেদে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে চালের দাম বাড়ায় আটা-ময়দায় ঝুঁকবেন। তারও উপায় নেই। গত এক বছরে খুচরা পর্যায়ে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। পাশাপাশি ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
তবে বাজারের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতির জন্য মিলমালিকদের ওপর দায় চাপাচ্ছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। তাদের দাবি, তারা নিজেদের মতো আমাদের রেট বেঁধে দিচ্ছে। আমরা এর বাইরে কোনোভাবেই যেতে পারছি না।
সেই সঙ্গে বছর ব্যবধানে ৩২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ৪৪ শতাংশের বেশি বেড়ে মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। তবে দামবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে দাম কমছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে তো কিছু করার থাকে না। যার কারণে বাজারের এ রকম অবস্থা।