সবজির দাম চড়া থাকার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কমেছে সবজির দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আর বর্তমান দামে কৃষকরা লোকসান না গুনলেও দরপতন ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান কৃষকরা।
সপ্তাহে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের বৃহত্তম সবজির পাইকারি বাজার স্টেশন বাজারে ফুলকপি ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি, শিম ২৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, ব্রোকলি ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি, মুলা ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি, আলু ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি, টমেটো ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, বেগুন ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ১২ থেকে ১৫ টাকা পিস ও লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হয়।
সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। মনিটরিংয়ের দাবি করে ক্রেতারা সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। ক্রেতাদের দাবি, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সবজির দাম বেশি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রায় ভাগ দাম বেশি দাবি করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাজার।
কৃষকরা জানান, সবজির দাম কমলেও উৎপাদন ভালো থাকায় বর্তমান দামেও লাভবান হচ্ছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি তাদের। তাই আগামীতে দাম কমে আসলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান কৃষকরা।
প্রতিদিন নাটোর জেলায় ৫২০ মেট্রিক টন সবজির চাহিদা থাকলেও বর্তমানে বাজারে সরবরাহ ৭ থেকে সাড়ে ৭০০ মেট্রিক টন সরবরা হচ্ছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ মেট্রিক টন সবজি সরবরাহ হয় রাজধানীতে।