শুটকি তৈরির ব্যস্ততা সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটাসহ পটুয়াখালীর উপকূলের শুটকি পল্লীগুলোতে বেড়েছে। রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় দেশ বিদেশেও রয়েছে শুটকির চাহিদা। ব্যবসায়ীদের কিন্তু প্রক্রিয়াজাত করার জন্য স্থায়ীভাবে কোনো জমি নেই বলে অভিযোগ।
তবে সংশ্লিষ্টরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা দেশের অন্যতম শুটকি উৎপাদন কেন্দ্র।সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে লবণ দিয়ে পরিষ্কার করে ফরমালিন ছাড়াই রোদে শুকিয়ে শুটকি প্রস্তুত করা হয়। দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও নজর কাড়ে এখানকার শুটকি।
শুটকি কিনতে আসা এক পর্যটক বলেন, এখানকার শুটকি অনেক সুস্বাদু। বরাবরের মতো এবারও আমি পরিবারের জন্য শুটকি নিয়েছি। এখানে অনেক ধরনের শুটকি পাওয়া যায়। এখানে শুটকির দাম অনেক কম এবং বেশ সাশ্রয়ী।
তবে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য সরকারিভাবে কোনো স্থান না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানান এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। তারা বলেছেন, সরকার যদি আমাদের নির্দিষ্ট একটা জায়গা দিত, তাহলে আমরা ব্যবসা করে লাভবান হতাম এবং দেশেরও উপকার হত। শুটকি পল্লী যদি আরেকটু উন্নত হত, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হত।
এ দিকে জায়গা বরাদ্দসহ শুটকি উৎপাদনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মেয়র ও মৎস্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেছেন, ডিসি সাহেবকে আমি বলেছি যে কুয়াকাটার শুটকি পল্লীর একটি স্থায়ী জায়গা দেওয়া উচিত। যে জায়গায় তারা নিরাপদে ব্যবসা করতে পারবে।
জায়গা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পটুয়াখালীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেছেন, এ শুটকি পল্লীকে পার্শ্ববর্তী স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এটা কিছু দিনের মধ্যেই কার্যকর হবে।
গেলো বছর কলাপাড়ার ৮টি শুটকি পল্লীতে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন শুটকি উৎপাদন হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ৫০০ পরিবারের প্রায় দুই হাজার মানুষ।