প্রতি মণ পাট কিনতে তারা ৩ হাজার টাকার বেশি দেবেন না বাংলাদেশ জুট মিল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) ও বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) বোর্ড সদস্যরা জানিয়েছেন।আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।
এমন দাবি জানানো হয়েছে,রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিজেএমএ এর সভাকক্ষে এ তিন সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের একটি যৌথ সভায়। সভায় পাটের দুষ্প্রাপ্যতা ও উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কাঁচা পাটের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজেএমএ জানায়, গত বছর দেশে প্রায় ৭০ লাখ বেল পাট উৎপাদিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে উৎপাদন, রফতানি ও স্থানীয় ব্যবহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পাট ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এখনও বাকি ৭০ শতাংশ পাট অব্যবহৃত অবস্থায় মজুতদারদের গুদামে রয়েছে। তারা অতি মুনাফার লোভে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পাটের মূল্য বাড়াচ্ছে। ফলে কাঁচা পাটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মিল মালিকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছেন। এর জন্য কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হবেন।
আরো জানিয়েছেন,বিদেশি ক্রেতারা নির্ধারিত মূল্যে পাটপণ্য না পেয়ে বিকল্প পণ্যে দিকে ঝুঁকছেন। এতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পাটপণ্যের বাজার হারাচ্ছে।
ব্যবসায়িক সংগঠন তিনটি দেশে পাট নিয়ে অবৈধ মজুতদারির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাট মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছে।