যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে সুপারস্টোরগুলোতে মিলছে না মাংস, দুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। সরবরাহ সংকট ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
তাক শূন্য সুপারস্টোরগুলোর।
এমন চিত্র উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান কিংবা যুদ্ধপীড়িত কোন দেশের নয়। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সম্পদশালী দেশ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের সুপারশপগুলোর।
এটি চরম দুর্দশা প্রাচুর্য আর ভোগী জীবনে অভ্যস্ত মার্কিনিদের জন্য সুপারশপে আগত একজন ক্রেতা বলেছেন, মাংস নেই, এমনকি নেই টয়লেট পেপারও। এটা অদ্ভূত, এটা অবিশ্বাস্য। আমি আমার মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু সুপারশপগুলোতে কিছুই নেই। একদম কিচ্ছু না। এটা একদমই অবিশ্বাস্য।
এদিকে এ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ওমিক্রন, মূল্যস্ফীতি, সাপ্লাই চেইন সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে তুষারপাতসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
শীতের সময় প্রয়োজনীয় পণ্য না পেয়ে আতঙ্ক থেকে অনেকেই মজুদ করছেন খাদ্যসহ নিত্য পণ্য। এতে সমস্যা আরও তীব্র হচ্ছে।
এ বিষয়ে একজন ক্রেতা বলেছেন, আমি কখনই এতগুলো তাককে একসঙ্গে ফাঁকা থাকতে দেখিনি। আমি কলা কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু পুরো সুপারস্টোরে আছে মাত্র চার পাঁচটি কলা। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমার পাতে কোন সালাদ নেই। আমি এক স্টোর থেকে আরেক স্টোরে ঘুরছি, কিন্তু কোথাও কিছু নেই। এ রকম পরিস্থিতি আমি আর কখনই দেখিনি।
এদিকে করোনা মহামারির প্রভাবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি চরমে। দেশটির ভোক্তা মূল্যসূচক গত ডিসেম্বর মাসে সাত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।