কারাগারে বানানো কয়েদিদের গৃহস্থালি পণ্য বেশ সারা ফেলেছে বাণিজ্য মেলায়।ঘরের সৌন্দর্য্য বাড়াতে নিচ্ছে কয়েদিদের হাতে বানানো এই পণ্য।
এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ জানালেন, লাভের অর্ধেক জমা হয় সংশ্লিষ্ট কয়েদিদের নামে, যা ইচ্ছে মতো খরচ করতে পারেন তারা।
বাণিজ্য মেলার এই প্যাভিলিয়নটি,পাল তোলা নৌকার বহর, দুঃখী পরিবারের প্রতিচ্ছবি কিংবা প্রেমের অনন্য নিদর্শন তাজমহল। দৃষ্টিনন্দন এমন নানান পণ্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন অপরাধে দেশের জেল খানাগুলোতে বন্দি সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্তদের হাতে। এ সব পণ্যের প্রচারণা ও বাজার সম্প্রসারণেই সাজানো হয়েছে।
পাল তোলা নৌকার বহর, দুঃখী পরিবারের প্রতিচ্ছবি কিংবা প্রেমের অনন্য নিদর্শন তাজমহল। দৃষ্টিনন্দন এমন নানান পণ্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন অপরাধে দেশের জেল খানাগুলোতে বন্দি সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্তদের হাতে। এ সব পণ্যের প্রচারণা ও বাজার সম্প্রসারণেই সাজানো হয়েছে
দামে কম, মানে ভালো। তাই দিনভর দর্শনার্থীরা এখানে আসেন প্রয়োজন মতো পছন্দের পণ্য কিনতে।
কারা অধিদফতর কেন কয়েদিদের দিয়ে পণ্য তৈরি করছে এ নিয়ে কারা অধিদফতরের ডেপুটি জেলার মো. জাকির হাসান রিয়াল বলেছেন, প্রত্যেকটি কারাগার থেকেই আমাদের মালামাল এখানে এসেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বন্দিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে সমাজের মূলধারায় পুনর্বাসিত করা, যাতে তারা এ জ্ঞান দিয়ে পরবর্তিতে কর্মসংস্থান করতে পারে। মোট কথা আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বন্দির হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করা।
গাজীপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার লিপি রানী সাহা বলেছেন, সাধারণত সশ্রম বন্দিরা এ সব পণ্য তৈরি করে। বিক্রি করা লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ টাকা তাদের প্রিজনার ক্যাস বা পিসি ক্যাসে জমা হবে। এ টাকা তারা পিসি কার্ডের মাধ্যমে কারা অভ্যন্তরেও ব্যয় করতে পারবে অথবা তাদের বাড়িতেও পাঠাতে পারবে।
সেই সঙ্গে পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে জানান কারা কর্তৃপক্ষ।