বেশির ভাগ সবজির পাইকারি দর সরবরাহ বাড়ায় মানিকগঞ্জ সদরের জাগীরবন্দর সবজির আড়তে কমেছে। কৃষকরা হতাশ ঠাৎ কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম কমায়। এইদিকে অভিযোগ আড়ত কমিটির পার্কিংয়ের নামে চাঁদাবাজিসহ নানান সমস্যা।
কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোর হওয়ার আগেই জমে ওঠে মানিকগঞ্জ সদরের এই জাগীরবন্দর সবজির পাইকারি আড়ত।
কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা দাম কমায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। শিম, বেগুন, গাজর, মুড়িকাটা পেঁয়াজ, ফুলকপি, করলা, মিষ্টি কুমড়া, শসা ও টমেটোসহ এ বাজরে বেড়েছে শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ।
প্রতি কেজি শিম ৩০ থেকে ৩২ টাকা, বেগুন ২৪ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১২ থেকে ১৩ টাকা, মুড়িকাটা পেঁয়াজ ২৭ থেকে ২৮ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৬ থেকে ৮ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২২ টাকা, করলা ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১২ থেকে ১৩ টাকা, শসা ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, খিরাই ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, টমেটো ২৩ থেকে ২৪ টাকা, মরিচ ২৬ থেকে ২৭ টাকা, লেবু ১ থেকে ২ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, আমরা কৃষক, ফসল ফলাই। ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। আমরা সবজি বেঁচে যদি উন্নতি করতে না পারি, তাহলে চলব কীভাবে?
আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম লাভলু শেখ বলেছেন, আমরা যেন অবাধে এখানে কাঁচামালের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি এবং ব্যাপারিদের সর্বাধিক সহযোগিতা দিতে পারি। তারা যেন শৃঙ্খলার মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারে। এখানে তারা যেন কোন চাঁদাবাজির মুখে না পড়ে। এখানে আমাদের রোডে বিভিন্ন রকমের সমস্যা থাকে। চাষিদের আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে পারি। তাহলেই আমরা সহজেই এ কাঁচামালের ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারব।
মানিকগঞ্জ সদরের পাইকারি এ আড়তে ১৭১ জন আড়তদার এবং হাজারেরও বেশি পাইকারের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হয়।
Discussion about this post