বাধ্যতামূলক করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অটোমেশন করার ধাপ হিসেবে শুল্ককর পরিশোধ অনলাইনে (ই-পেমেন্ট) ।
কিন্তু ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করার দুই সপ্তাহ পেরোতেই ব্যবসায়ীদের টেনশনে পরিণত হয়েছে।
কাস্টমসের সেবাগ্রহীতারা বলছেন, শুল্ক পরিশোধ আগে যখন পে অর্ডারে পরিশোধ করতাম, তখন মনে হয় ভালো ছিল। ই-পেমেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে সার্ভারের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বেশিরভাগ আমদানিকারক শুল্ক পরিশোধ করতে না পেরে পণ্য খালাস করতে পারেননি। তবে কাস্টমস কর্তারা বলছেন, কাস্টমসে যখন পেমেন্টের চাপ বেড়ে যায়, তখন সার্ভার মাঝেমধ্যে হ্যাং করে।
ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নির্দেশনা মোতাবেক বাণিজ্য সহজীকরণের অংশ হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০১৭ সাল থেকে।
অর্থ পরিশোধ করতে পারেন নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে শুল্ক-করের।এছাড়া ইউজার আইডি দিয়ে আরটিজিএস (রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) গেটওয়ের মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধ করা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পন্থা।
পরিশোধের ক্ষেত্রে গত বছরের জুলাই থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় কেবল ২ লাখ টাকার ওপরের শুল্ক।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান বলেন ,বলেন, ই-পেমেন্ট এখন আমাদের জন্য মহা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল এই সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা ঠিক সময়ে শুল্ক পরিশোধ করতে পারিনি। যার ফলে পণ্য খালাসও করতে পারেননি অনেকে। অথচ এই ই-পেমেন্ট সেকেন্ডে সম্পন্ন হওয়ার কথা। উল্টো আমাদের কাছে ম্যাসেজ আসছে আমরা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কোড নম্বর ভুল করেছি। আজ (গতকাল) সকালে ই পেমেন্ট করে সন্ধ্যায় ম্যাসেজ পাচ্ছি আমার শুল্ক পরিশোধ হয়েছে। আমরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এটি কোনোভাবে মানা যায় না।
অপরদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সিস্টেম এনালিস্ট আহসান হাবীব সুমন বলেন,বলেন, কেবল এনবিআরের সার্ভারের ত্রুটি হলেই ই-পেমেন্টে সমস্যা হবে ব্যাপারটি এমন নয়। এখানে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারও সংযুক্ত থাকে। কোনো একটিতে সমস্যা দেখা দিলে এটি হতে পারে। বিষয়টি আমরা সেবাগ্রহীতাদের একাধিকবার বুঝিয়েছি।
Discussion about this post