স্থানীয়ভাবে নির্মিত এ অটোরিকশা মানুষ ছাড়াই অনবরত ঘোরাচ্ছে ঘানি। এতে সরিষা থেকে তেল তৈরিতে কমেছে ঝক্কির পাশাপাশি ব্যয়ও। বেড়েছে উৎপাদন আর মুনাফা।
রংপুর মহাসড়ক কুড়িগ্রাম পৌরসভা লাগোয়া সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে গেছে। ঘানি দিয়ে মাড়াই করা সরিষার তেল বিক্রির পেশা বংশ পরম্পরায় করে আসছেন। কিন্তু ঘানি টানার গরু পালনের ঝক্কি-ব্যয় আর সীমিত পরিমাণ উৎপাদনের কারণে কোনো রকমে সংসার চালাতে হতো। এ অবস্থায় তার দোকান লাগোয়া অটোরিকশা মেকানিক ঘানি ঘোরানোর জন্য একটি অটোরিকশা তৈরি করে দেওয়ায় উৎপাদনের পাশাপাশি লাভও বেড়েছে।
মেকানিক এনামুল হক পুরনো অটোরিকশার ফ্রেম, চাকা, ব্যাটারি মোটর ইত্যাদি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ঘানি টানার অটোরিকশাটি বানান।
এ দিকে দেশীয় এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ঘানি মালিকদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কুড়িগ্রাম জেলা বিসিক কার্যালয়ে উপ ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেছেন, সাধারণ যারা ঘানি রয়েছেন, তাদের উৎসাহিত করব তারা যেন গরুর পরিবর্তে অটোরিকশা দিয়ে তেল ঘানি পরিচালনা করেন। এতে করে আমাদের উৎপাদন যেমন বাড়বে। তেমনি ঘানিও লাভবান হবে। পাশাপাশি পরিবেশও সুরক্ষিত থাকবে।
অটোরিকশা দিয়ে ঘানি টেনে প্রতিদিন তেল উৎপাদন হচ্ছে ৯ লিটার। এই তেল এবং খৈল বিক্রি করে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার টাকা মুনাফা হচ্ছে বলে জানান ঘানির মালিক মাহবুব আলম।
এ দিকে দেশীয় এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ঘানি মালিকদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কুড়িগ্রাম জেলা বিসিক কার্যালয়ে উপ ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেছেন, সাধারণ যারা ঘানি রয়েছেন, তাদের উৎসাহিত করব তারা যেন গরুর পরিবর্তে অটোরিকশা দিয়ে তেল ঘানি পরিচালনা করেন। এতে করে আমাদের উৎপাদন যেমন বাড়বে। তেমনি ঘানিও লাভবান হবে। পাশাপাশি পরিবেশও সুরক্ষিত থাকবে।
অটোরিকশা দিয়ে ঘানি টেনে প্রতিদিন তেল উৎপাদন হচ্ছে ৯ লিটার। এই তেল এবং খৈল বিক্রি করে প্রতিদিন অন্তত এক হাজার টাকা মুনাফা হচ্ছে বলে জানান ঘানির মালিক মাহবুব আলম।