৫টি গ্রামের শতাধিক কৃষক চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে সেচ সংকটের কারণে বোরো ধানের চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে বোরো আবাদ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তাদের।
বিএডিসি সেচ কর্তৃপক্ষ তবে দ্রুত জমিগুলো সেচের আওতায় আনার আশ্বাস দেন সেচ প্রকল্পের পরিচালক এবং সমস্যা সমাধানে হাওরের খাল খননের উদ্যোগের কথা জানায়।
৫টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর। এখানে বোরো আবাদ করেন ৫টি গ্রামের। কিন্তু খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জমিতে পানি সেচ দিতে পারছেন না তারা।
প্রতি বছরই বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণের সময় সেচ সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে। কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি অভাবে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। জমি বেশি শুকিয়ে আছে। ট্রাক্টরের দাম লাগছে বেশি। খরচ বেড়ে গেছে। পানি সময়মতো এলে আমরা সময়মতো গৃহস্থ করতে পারতাম।
এদিকে দ্রুত পতিত জমিসহ অন্যান্য জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন করে সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তা। সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর ভাদেরটেক ১০ কিউসেক ভাসমান সেচ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেছেন, নির্বাচনের কারণে আমরা পানিটা বন্ধ রাখছি। এক সপ্তাহ ধরে আমরা পানি দিচ্ছি। অনেক জমিতে দেওয়া হয়েছে। কিছুটা জমিতে পানি দেওয়া বাকি। এগুলো আগামী ২ থেকে ৩ দিনে দেওয়া শেষ হয়ে যাবে।
সহকারী প্রকৌশলী হুসাইন মুহাম্মদ খালেদুজ্জামান তিনি বলেছেন, অচিরে প্রকল্পটি যদি আমরা পাস করে নিয়ে আসতে পারি, ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার খাল খনন সাপেক্ষে আমরা ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি করব এবং এ অনাবাদি জমি সেচের আওতায় নিয়ে আসব।