শনিবার ১৫ জানুয়ারি মহামারি করোনভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর আগে নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। ট্রেনের ৫০ শতাংশ আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে এবং ২৫ শতাংশ কাউন্টারে বিক্রি করা হয় নতুন নিয়ম অনুযায়ী।
এই তথ্য জানানো হয়,এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে সরকার কর্তৃক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ প্রজ্ঞাপনে ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নিম্নে বর্ণিত সংশাধনী আনা হলো এমতাবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে।
১. যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করণার্থে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের বিদ্যমান আসনসংখ্যার অর্ধেক
টিকিট ইস্যুকরণ।
২. হ্রাসকৃত আসনসংখ্যার অর্ধেক (অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যার ২৫%) টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে এবং বাকি অর্ধেক
আসনের (অর্থাৎ মোট আসনসংখ্যার ২৫%) টিকিট মোবাইল অ্যাপ/অনলাইনের মাধ্যমে ইস্যু করা।
৩. আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
৪. ইতোপূর্বে রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও আন্তঃনগর ট্রেন ম্যানুয়াল অনুযায়ী পাস কোটা ব্যতীত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ে বিদ্যমান সকল প্রকার কোটা ব্যবস্থা রহিত করা।
৫. কাউন্টারে টিকিট ইস্যু ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীর মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
৬. প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনপূর্বক আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা প্রদান ও ট্রেনে রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করতে হবে।
Discussion about this post