৫টি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)
বুধবার (১২ জানুয়ারি) নির্দেশনা জারি করা হয় বিআরটিএ থেকে
১. কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লিখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০%) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
২. সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।
৩. গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার এবং টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান/ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে গণপরিবহনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও মোটরযানের মালিকগণকে যাত্রীগণের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী উঠা-নামা করতে হবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, গণপরিবহনের চালক-হেলপার সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে না। আমরা বাসের ভাড়া বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করছি না। অর্ধেক যাত্রী নিলে বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে না- এমন নির্দেশনা কেবিনেটের নির্দেশনা থেকে দেওয়া হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, আলোচনায় অংশ নেওয়া বাস মালিকসহ অন্যান্য সদস্যরা বলেছেন, সব অফিস-আদালত খোলা রেখে যদি অর্ধেক যাত্রী বহন করা হয় তাহলে পরিবহনের সংকট দেখা দেবে, তাতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। এসব বিবেচনা করে পরিবহন মালিকরা দাবি জানিয়েছেন কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত আসন তত যাত্রী নেওয়ার। সে ক্ষেত্রে জনগণ ভোগান্তিতে পড়বে না। তাছাড়া অনেক পরিবহন শ্রমিক এখনো ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসেনি। তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে হবে। তাদের দাবিগুলো আমরা সরকারের কাছে জানাবো, সরকার বিবেচনা করবে।