চাদরের পাইকারি হাট তবে এবার চাদর তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি না পাওয়ায় হতাশায় রয়েছেন।কর্তৃপক্ষের দাবি এ দিকে স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তার দাবি তাঁতি ও হাট।
হাজার হাজার তাঁত মালিক ও শ্রমিক শীতের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে গরম কাপড়ের কদরও। আর টাঙ্গাইলের করটিয়ার চাদর ব্যবসায়ীরাও সারা বছরে এই সময়টাতে জমজমাট ব্যবসার আশা করে থাকেন। তবে সুতা ও অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় চাদরের দাম বাড়েনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। লাখ লাখ টাকার চাদর উৎপাদন করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। নানা কারণে অনেকেই ইতোমধ্যে পুঁজি হারিয়ে তাঁত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বেকার হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে তাঁত মালিকরা বলেছেন, শীত নেই। ক্রেতাপণ্য বিক্রি করতে না পারলে কেন কিনবে? এর জন্য আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে। বিগত সময়ের আমদানির তুলনায় এবার চার ভাগের এক ভাগও নেই। এবারের মতো ব্যবসা গত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হয়নি।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীত কম থাকায় খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে না। আগামীতে ভালো হওয়ায় অপেক্ষায় আছেন তারা।
চাদর বিক্রি নিয়ে পাইকার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ বছর শীত কম হওয়ার কারণে তাঁতিরা আবাদ করতে পারছে না। তাঁতিদের লোকসান হচ্ছে। সরকার ঋণ দিয়ে এ ব্যবসা টিকিয়ে না রাখলে, এ ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে।