বেড়েই চলছে একের পর এক জিনিসপত্রের দাম।অস্থির আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থাও।অন্যদিকে বাজেটে রয়েছে বিশাল ঘাটতি।সরকারকে ভর্তুকির দিকে আগাতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। এতে করে দেশীয় অর্থনীতির ওপরে সৃষ্টি হচ্ছে বাড়তি চাপ।
উল্লেখযোগ্য হারে,আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে সার, জ্বালানি তেল এবং এলএনজি গ্যাসের দাম। এতে করে দেশীয় বাজারেও এ সংশ্লিষ্ট সকল পণ্যের দাম বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, চলতি অর্থবছরের শেষে ভর্তুকির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অথচ গত জুনের অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার কোটি টাকা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ভর্তুকির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয় বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয় সার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে,যদিও সারের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে অতি শীঘ্রই বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়তে পারে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখা সম্প্রতি অর্থ বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরে সার বাবদ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকির প্রয়োজন হতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনফুট ৩০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি গ্যাসের দাম।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম না কমানোর ফলে এখান থেকে সরকার একটি বড় রকমের সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।