সূত্রে জানাচ্ছে তুলার রফতানি কমছে ভারতে। দেশটির শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বেঞ্চমার্ক ইউএস ফিউচারের তুলনায় সরবরাহ মূল্যে উচ্চ প্রিমিয়াম চার্জ করায় রফতানি কম হবার অনুমান করা হয়। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মূলত তুলার উৎপাদন কম হওয়া আশঙ্কা করে প্রিমিয়াম চার্জ বাড়িয়েছিল। এদিকে স্থানীয় টেক্সটাইলস মিলসগুলোতে তুলার উচ্চ চাহিদা বিদ্যমান।
শীর্ষ স্থানে রয়েছে বর্তমানে ভারত তুলা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে। ধারণা করা হচ্ছে বর্তমানে ভারত তুলা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উচ্চ প্রিমিয়াম হার নির্ধারণের কারণে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং চীনের মতো এশিয়ার ক্রেতারা তুলা আমদানির করতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলোর মুখাপেক্ষী হতে শুরু করবে বলে।
বৈশ্বিক ট্রেডিং ফার্মগুলির ডিলাররা জানিয়েছেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের চালানের জন্য বাংলাদেশের ক্রেতাদের ভারতীয় তুলার চুক্তি মূল্যে ব্যয় ও পরিবহন মূল্যসহ প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতি পাউন্ড ১৩৫ সেন্ট। এটি ইউএস ফিউচারের তুলনায় প্রায় ২০ সেন্ট বেশি। সাধারণত, ভারত ইউএস ফিউচারের তুলনায় প্রতি পাউন্ডে ৫ থেকে ১০ সেন্ট বেশি প্রিমিয়াম চার্জ করে।
ডিলাররা জানিয়েছেন, ভারতী মিলগুলো চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির আরও ১০ লাখ বেল তুলা রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মুম্বাই-ভিত্তিক একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংস্থার একজন ডিলার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কিছু ক্রেতা ভারতীয় তুলা বেশি দাম দিয়ে নিচ্ছেন কারণ তারা দ্রুত চালান এবং ডেলিভারির নিশ্চয়তা চায়। বাংলাদেশে ভারতের তুলা রফতানির প্রায় অর্ধেক স্থল সীমান্ত দিয়ে হয়ে থাকে, যা অন্যান্য তুলা প্রতিদ্বন্দ্বী রফতানিকারকদের তুলনায় চালানকে আরও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।
অপরদিকে কোটাক বলেছেন, ২০২১-২২ মৌসুমে ভারতে তুলা উৎপাদন কমে ৩ কোটি ৪০ লাখ বেলে নেমে যেতে পারে। যা এক বছর আগে তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ কম। দেশটির প্রধান তুলা উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোয় ফসল কাটার মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Discussion about this post