ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলায় আগাম আলু চাষীরা লোকসান গুনলেও বীজ সংরক্ষন কারি আলু চাষীরা লাভের প্রত্যাশায় দিনগুনছেন।
এমন একটি খবরের তথ্য সরেজমিনে বাঁচোর ইউপির মাধবপুরে গিয়ে আলু চাষী উমা কান্ত ও সুভাষ জানায়, এই বীজের আলু চাষে প্রতিবিঘায় মোটা অংকের লাভের প্রত্যাশায় মাঠে বীজের আলুতে সেচ নিচ্ছেন।
অন্যদিকে চলতি এ মৌসুমে এবার আগাম বিভিন্ন রকমের আলু চাষে হঠাৎ করে বাজারে ব্যাপক ভাবে উৎপাদিত আলু আমদানিতে বিঘা প্রতি ১৭/২০ হাজার টাকা লোকসানে দিশেহারা হলেও অন্যদিকে ব্রাকের ডায়মন্ড আলুর বীজ চাষে প্রতি বিঘায় ২০-২৫ হাজার টাকা লাভের প্রত্যাশায় মাঠে আলু চাষীরা ক্ষেতে সকল পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।
বাচোঁর ইউপির মাধবপুর গ্রামের আলু চাষী সাংবাদিকদের জানায় একদিকে কৃষকরা আলু চাষে লোকসান গুনলেও বীজের আলু সংরক্ষনে প্রতিবিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছি।
ব্রাকের এই ডায়মন্ড জাতের আলুর বীজ সংরক্ষনে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পরেছেন আলু চাষীরা।মাঠে শতশত একর জমি বীজ সংরক্ষনে ডায়মন্ড জাতের আলু উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিস্তৃন্ন মাঠে যেদিকে তাকায় শুধু আলুর বীজ চাষের মহোৎসব চলছে চারিদিক।আলু চাষীরা জানায় মাঠে এই বীজের আলু চাষাবাদের সময়ে আগাম বিভিন্ন দুরদুরান্তের কম্পানি এবং ব্যবসায়ী ফরিয়ারা এই বীজের আলু সংরক্ষনের জন্য টাকা দিয়ে থাকেন।
এদিকে অনেক আলু চাষীকে আগাম অর্থ দিয়ে চুক্তিবদ্ধ করে এ সময়ে মর্মে জানাগেছে।
তাই আলু চাষিরা একদিকে একদিকে লোকসানে পরলেও আলুর বীজ চাষে লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন।
ফলে একদিকে লোকসানের অনেকটায় পুষিয়ে নিতে পারবেন এ আলুর বীজ চাষে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানায়,আসলে সাধারন আলু চাষীরা লোকসানে পরলেও ভালমানে বীজ চাষীরা ব্যবহারে সন্তোষজনক সফলতা অর্জন করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং তিনি আরো বলেন,জমি ফেলে রাখা যাবেনা,আলু উঠার পরে যথারীতি ভূট্রা,গম লাগাতে হবে তবেই লোকসানের পাশা পাশি লাভের প্রত্যাশায় পুষিয়ে নিতে পারবে।তবে আলু সাধারন চাষীরা তাদের লোকসানের হাত থেকে যথারীতি সময়ে আলুর ভাল মানের বীজ বপনে ভাল মানের বীজ চাষে লোকসান পুষিয়ে নেওয়া লাঘব হবে।