নেই ক্রেতা। ক্রেতার অভাবে বস্তা ভেদ করে বের হচ্ছে পেঁয়াজের গাছ। ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। তবে ক্রেতা সংকটে ঝিমিয়ে পড়েছে বেচা-কেনা।
লোকসানের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আমদানিও কমিয়েছে পেঁয়াজের।বিক্রির অপেক্ষায় বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায় সারি বদ্ধভাবে ভারতীয় পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে আছে।পাশে বসে আছে আমদানিকরক ও তাদের প্রতিনিধি।
২০ থেকে ২২ টাকা দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আবার যে পেঁয়াজে গাছ বের হয়নি সেগুলো কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারকরা বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছি আমরা। অনেকেই পুঁজি হারিয়েছে। বর্তমানে ভারতেই পেঁয়াজের কেজি প্রায় ২৫ টাকা। তার পরে ট্রাক ভাড়া, আবার বন্দরে আসার খরচ। তার পরেও আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি কারণ বিভিন্ন মোকামে অনেক বাকি পড়ে আছে।
আড়তদাররা বলেন, পেঁয়াজ রাখার বয়স তিন দিন। তার মধ্যে এভাবে বস্তা ভেদ করে গাছ বের হয়েছে। ভালো অবস্থায় এই পেঁয়াজ ২৫ টাকা বিক্রি করলেও এখন ১৫ থেকে ১৭ টাকায় বিক্রি করছি। এখন বিক্রি না হলে আরও দাম কমে যাবে।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে চলতি সপ্তাহের ৪ কর্মদিবসে ৭০টি ভারতীয় ট্রাকে ১ হাজার ৯২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এক দিনে আমদানি হয়েছে ৯ ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ।