এবার বেসরকারি খাতে যাচ্ছে নগরের বর্জ্য অপসারণ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে ‘পাইলট প্রকল্প’ হিসেবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বর্জ্য সংগ্রহ করলে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ‘সার্ভিস চার্জ’ পরিশোধ করতে হবে বর্জ্য সরবরাহকারীকে!
চসিক আইন অনুযায়ী, বর্জ্য অপসারণে বাধ্য। সংগ্রহ করে আইন অনুযায়ী, বর্জ্য অপসারণে বাধ্য চসিক। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ‘ডোর টু ডোর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় বাসা-বাড়ি থেকে চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা।
এ প্রকল্পে বর্জ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে কোনো ফি নির্ধারণ করেনি চসিক।অবশ্য চসিক ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ যে পৌরকর আদায় করে তার মধ্যে ময়লা অপসারণ রেইট অন্তর্ভুক্ত।
২৫টি ওয়ার্ড থেকে ৭ শতাংশ এবং ১৬টি ওয়ার্ড থেকে ৪ শতাংশ করে ময়লা অপসারণ রেইট আদায় করা হয় এক্ষেত্রে। নগরবাসীর ওই হিসেবে ময়লা অপসারণ খাতে ফি পরিশোধ করে নগরবাসী। এরপরও সার্ভিস চার্জ নামে নতুন করে ফি আদায়ের খবরে অসন্তোষ আছে।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন,পশ্চিম ষোলশহরের কিছু এলাকায় বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলছে। এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। যাচাই-বাছাই চলছে।
বেসরকারি খাতে গেলে নগরবাসীর কাছ থেকে ফি আদায় করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবছি। ঢাকায় কিন্তু বেসরকারিভাবেই আদায় করা হয়। তবে ঢাকায় যেসব প্রতিষ্ঠান ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে তারা কত টাকায় আদায় করতে পারবে তা সিটি কর্পোরেশন নির্ধারণ করে দেয়নি। ফলে কোথাও কোথাও কোথাও বেশি আদায় করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা ফি নির্ধারণ করে দিব। এক্ষেত্রে যেসব এলাকায় নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত বাস করে তাদের জন্য এক ধরনের হবে। আবার বাণিজ্যিক এলাকায় আরেক রকম হবে।