সংসদ সদস্য এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফীকে নিয়ে চিকিতসকদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে সরিয়ে ডা মুরাদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছিল দুই বছর আগে। সে সময় এক ঝটিকা সফরে নড়াইল সদর হাসপাতাল যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিনাছুটিতে চার চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় চিকিৎসককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন মাশরাফি।
এরপরে এই ঘটনার পর জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করতে থাকেন চিকিৎসকরা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে চিকিতসকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ডা. মুরাদ।
ডাক্তারদের উদ্দেশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একজন মাশরাফি সৃষ্টি করতে পারবেন! পারবেন আপনারা? হতে পারবেন নাকি জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। হতে পারবেন একজন জাতীয় ডাক্তার! হয়ে প্রমাণ করেন যে, আপনি জাতীয় ডাক্তার তাই মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন। পারবেন না তো।’
তার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সমাজ এবং সমাজের নানা পর্যায়ে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ প্রতিমন্ত্রীর সরিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
মুরাদ হাসান পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।