বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে উপকূলজুড়ে। ফলে শনিবার রাত থেকেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয় মোংলা বন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা থাকলেও সেটি ভারতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত থেকেই খুলনা শহরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এমন বৈরী আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরের পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান বন্দরসংশ্লিষ্টরা।
গত তিন দিন পর সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি লঘুচাপে পরিণত হওয়ার পরপর মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না মেলায় বিপাকে পরেছে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে যাওয়া জেলে ট্রলারগুরো সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে নামতে পারছে না।
অপরদিকে হালকা ও ভারি বৃষ্টির ফলে বন্দরে অবস্থানরত সামুদ্রিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
মোংলা বন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিলছেনা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিপাকে পরেছে শহরের চলাচলকারী, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মোংলা ইপিজেডে কর্মরত সাধারণ শ্রমিকরা।
এ ছাড়া সুন্দরবনের দুবলারচর এলাকায় সাগর থেকে আহরিত মাছ নিয়ে উঠে আসতে পারছে না জেলেরা। এ ছাড়া যারা দুবলার চরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলে শুঁটকি আহরণের জন্য সাগর থেকে মাছ আহরণ করেছে তা বৃষ্টির কারণে পচতে শুরু করেছে বলে জানায় জেলে সম্প্রদায়। রোদ না থাকায় কয়েক কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে দুবলার শুঁটকি ব্যবসায়ী ও মৎস্য আহরণে যাওয়া জেলেদের।