আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চলছে। শুরুতে প্রতি বছর এই টানেল দিয়ে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে বলা হলেও ক্রমে তা প্রায় দেড় কোটিতে উন্নীত হবে। বিশাল এই চাপ সামলানোর প্রস্তুতিও এখন থেকে নেয়া শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়কে মূল শহরের সাথে যুক্ত করাসহ আবাসন, শিল্পায়ন এবং পর্যটনে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। টানেলের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। চার লেনের এই টানেলের দুটি টিউবের একটি দিয়ে দুই লেনের গাড়ি নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে যাবে। অপর টিউব দিয়ে দুই লেনের গাড়ি অপর পাড় থেকে শহরের দিকে আসবে। মূল টানেলের সঙ্গে উভয় প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার লম্বা একটি ওভারপাস থাকছে। এই টানেল নির্মিত হওয়ার সাথে সাথে আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো, চীনা ইপিজেড, পারকি সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এক দফা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই টাকার পরিমাণ আরো বাড়বে বলে সূত্র আভাস দিয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসিএল) টানেলটি নির্মাণ করছে।
প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ নির্ধারিত সময়েই গাড়ি চলাচল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।