বাংলাদেশে সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তানি ক্রিকেট দল।
অনুশীলনে পতাকা উড়ানো নিয়ে চলছে নানান আলোচলা সমালোচনা।উদ্দেশ্য কী?প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে।
মিরপুরের একাডেমি মাঠে সোমবার (১৫ নভেম্বর) প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তবে অনুশীলন ছাপিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে তাদের বিতর্কিত পতাকা উত্তোলন ইস্যু।
লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, করাচি কিংবা ইসলামাবাদ নয়। স্বাধীন বাংলার মিরপুর। সেই মিরপুর, একাত্তরে যেখানে নিরীহ বাঙালিদের ওপর গণহত্যায় মেতেছিল পাক হানাদাররা। সেই মিরপুরে আবারও উড়ল পাকিস্তানের পতাকা, তাও কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগিয়ে ক্রীড়া সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজ ঊদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন ,
আইসিসির নিয়মানুসারে কোনো ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলাকালীন দুই দেশের পতাকা উড়তেই পারে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুশীলনেই সেটা কেন উড়াতে হবে! তাদের এমন দৃশ্যে যেন চক্ষু চড়কগাছ সবার।
গেল ২১ বছর ঘরের মাঠে আইসিসির সব দলকেই আতিথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন দৃশ্য হয়ত দেখা যায়নি এর আগে।
চট্টগ্রাম বিভাগিয়ে ক্রীড়া সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান জানান ,
ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, পতাকাগুলো এমন স্থানে টানানো হয়েছে। ক্যামেরার লেন্সে তা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। তার মানে, খুব সচেতনভাবেই করা হয়েছে কাজটি। যার পেছনে থাকতে পারে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য। যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করেননি কেউই, মন্তব্য আসেনি বিসিবির পক্ষ থেকেও।
খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে অতি উদারতার পরিণামও ডেকে আনে না ভালো কিছুই। বিষয়টি নিশ্চয়ই অজানা নয় বিসিবিরও। ক্রিকেটীয় মোটিভের সুযোগে, যেন ভিন্ন কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন না হয়, সেই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিতে হবে দেশের ক্রিকেটের অবিভাবক সংস্থাকেই।এদিকে, দুইদিন আগে ঢাকায় পা রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। মাঝখানে দুইদিন বিরতি নিয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) মাঠে অনুশীলনে নামে তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুরের একাডেমি মাঠে প্রথম দিনের অনুশীলন শুরু করে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তবে এদিন দলের সঙ্গে দেখা যায়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ১৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দুই টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২০ ও ২২ নভেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
টি-টোয়েন্টি শেষে দুই দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।