শহর থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। নগরজীবনে আসবে গতি। তবে
১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের কারনে জনজীবন হয়ে উঠেছে ভোগানিতে। আসন্ন শীতকালীন শুস্ক আবহাওয়ার কারনে নিমানাধিন এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশ এলাকা ঢেকে পরেছে ধুলোর চাদরে।
কাজ শুরুর প্রায় ২ বছরে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে আবহাওয়ার শুস্কতার ফলে ধুলোর কারণে বেড়ে গিয়েছে বায়ু দূষণ। ধুলোর পরিমান হ্রাস করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর দেখা মিলেছে উদাসীনতা। সরেজমিনে দেখা গিয়েছে রাস্তার উপর পরে থাকা ধুলোর পরিস্কার অভাবে পরিণত হচ্ছে স্তূপ। শুধুমাত্র আগ্রাবাদ মোড় এ ধুলা-বালি কামতে রাস্তায় দেওয়া আছে পানি। তার বাদে আর কোথাও এক সপ্তাহেও দেখা মেলে না তাদের।
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী থেকে বারিক বিল্ডিং, ইপিজেড থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত দীর্ঘ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে প্রতিদিন চলে ছোট-বড় মিলিয়ে হাজার হাজার গাড়ি। রাস্তায় পরে থাকা বালু পরিস্কার এর অভাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অত্র এলাকার বাসিন্দারা।
কর্তৃপক্ষের মতে রাস্তা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থা এইরকম থাকবে।
দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহফুজুর রহমান ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি বিশেষায়িত প্রকল্প হিসেবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে।
উল্লেখ্য বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বেহাল দশার কারনে জনজীবন হয়ে উঠেছিল চরম ভোগান্তিতে। অত্র এলাকার মানুষের এখন একটাই দাবি যত দ্রুত সম্ভব যেন শেষ হয় এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ের কাজ।
Discussion about this post