বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়লয়ের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিদায় অনুষ্ঠানের নাম পালন করছে রেগডে। এই রেগডের ছবি ভিডিও চলে যাচ্ছে টিকটক ,ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে রেগডে নামের উচ্ছৃঙ্খলতা,অশ্লীলতা,এমনকি যৌন হয়রানির মতো ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সব থেকে বেরিয়ে আসতে অবিভাবক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সব গান এবং নাচের দৃশ্য এস এস সি পরীক্ষার শিক্ষার্থিদের বিদায় অনুষ্ঠানের। যুগযুগ ধরে চলে আসা এসএসসি আর এইচএসসি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠান রূপান্তরিত হয়েছে রেগতে। রোববার থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। তাই পুরো সপ্তাহ জুড়ে চলছে এই রেগডে। বাংলা হিন্দি গানের সঙ্গে চলছে নাচ গান। একজন আরকজনকে রং মাখিয়ে দিচ্ছে। সাদা টিশার্টে লিখছেন কুরুচিপূর্ণ বাক্য। এইসব কারণে মানা হচ্ছেনা ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ অনেক সময় ঘটছে যৌনহয়নির মতো ঘটনা।এই সব অশ্লীল ভিডিও দিয়ে বানানো হচ্ছে নানা ধরণের টিকটক জেনো দেখার কেউ নেই কিন্ত যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে ।
একজন সচেতন শিক্ষকের ফেইসবুকের একটি স্ট্যাটাস সবার নজরে এসেছে তিনি বলেছেন “রেগডে নামে ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা গত এক সপ্তাহ যাবৎ যা করছে তা দেখার আগে এনাদের মৃত্যু হওয়া উচিৎ ছিলো। বিষয়টি আরো খারাপ লাগছে যখন দেখছি কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থী কাজটিতে বাধা না দিয়ে নিজেরাও যুক্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন বোরকা পরে আসা মেয়েটিও রেগডের গেঞ্জি পরে স্পর্শকাতর জায়গা গুলোতেও অশ্লীল কথা লিখিয়ে আনন্দ দিচ্ছে। শিক্ষকদের ক্ষমতা সীমিত কিন্তু এই পরিসস্থিতিতে অভিবভাবকরা এগিয়ে না আসলে আমরা অন্য সমাজে চোলে যাবো। সমাজে চোখের কোনো লজ্জা থাকবে না।
শিশু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরণের ঘটনা অতন্ত লজ্জাজনক।
Discussion about this post