একদিকে ধর্মঘটের অজুহাত অন্য দিকে দ্রবমূল্যের দাম বৃদ্ধি যেনো পিছু ছাড়ছে না।
বাজারে গিয়ে পছন্দের জিনিস কেনা দূরের কথা একান্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যটি কিনতে হিমসীম খাচ্ছেন চাকুরীজীবী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা।
আর নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরো করুণ। তাদের পক্ষে এখন কোন মতো দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া ৯০ ভাগ মানুষের অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত পার করছেন। এই মানুষগুলোর অসহায়তা ও চাপা কান্না যেন কেহ শুনতে পাচ্ছেন না।
বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির কেজি ৬০ টাকার ওপরে। চট্টগ্রাম নগরের বদ্দারহাট কাঁচা বাজার ঘুরে জানা যায়, শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০,ফুলকপি ৮০ টাকা ,ঢেঁড়স ৫০ টাকা ,শশা ৪০ টাকা ,কাঁচামরিচ ১২০ টাকা ,বাঁধাকপি ৫০,টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
অন্য দিকে মাছের বাজার ঘুরে জানা যায়,ছোট রূপচাঁদা ৬০০ টাকা,বড়ো রূপচাঁদা ৭০০ টাকা,বড় ইলিশ ১৩০০ টাকা,ছোট ইলিশ ১২০০ টাকা পোয়া মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা,কোরাল মাছ ৬০০ টাকা,রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা,কাতাল মাছ ২৫০ টাকা ,চিংড়ি ৬০০ টাকা।
প্রতিদিন যে জিনিসটি না হলেই নয় সেই চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকার নিচে নেই। চিকন ও মাঝারি চালের দাম ৭০-৭৫ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতেও নতুন করে বেড়েছে তেল ,চিনি ,আটা ময়দা ,ডাল, রান্নার মসলার সহ প্রায় সকল পণ্যের দাম।তেলের দাম ২০ বেড়ে ৬৮০ থেকে ৭০০ হয়েছে।
মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ১১০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫থেকে ১৬০ টাকা দরে। সোনালী ২৮০ টাকা,তাদের মতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বেড়েছে। খাদ্যের দাম বেড়েছে। এ কারণে ব্রয়লার মুরগির ও ডিমের দামও বেড়েছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি দরে যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন, তা আজ বিক্রি করছেন ৪৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে তারা আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৪২ টাকা কেজি দরে। এই সপ্তাহে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি দরে।আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা ,রসুন ১১০ টাকা গরম মসলার দাম আগের মত আছেন বলে জানান,ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান ধর্মঘটের কারণে দ্রব্য মূল বাড়েনি অপর দিকে ক্রেতারা জানানা ধর্মঘটকে কাজে লাগিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে কয়েক গুন