নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে সব কিছুর উর্দ্ধগতিতে জনগণ মানুষের বেঁচে থাকা যেনো এক যুদ্ধে পরিনত হয়েছে । হিমশিম খাচ্ছে প্রতিদিনের জীবন যাপনে। তারই মধ্যে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পানির মূল্য। চলতি বছেরর ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসা বাড়াতে যাচ্ছে পানির মূল্য।
চট্টগ্রাম ওয়াসা এক্ষেত্রে আবাসিক গ্রাহতদের প্রতি ইউনিটে ৬২ পয়সা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ১ টাকা ৫২ পয়সা বাড়তি গুণতে হবে। সংস্থাটির দাবি করছে, পানির উৎপাদন খরচ এবং সংস্থার ব্যয় নির্বাহের জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। এদিকে কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, সিস্টেম লস কমিয়ে সেবার মান বাড়ানো উচিত সংস্থাটির।
তেল-গ্যাসের পর পানির এই বাড়তি দামে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।চট্টগ্র্রামে বাস করে প্রায় ৬০ লাখের মানুষ। ৪৫ থেকে ৫০ কোটি লিটার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন পানির চাহিদা।গ্রীষ্মকালে তা ৫৫ কোটি লিটার ছাড়িয়ে যায়। বিশাল এ চাহিদা চট্টগ্রাম ওয়াসা পূরণ করে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে উৎপাদিত পানি এবং ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে। ওয়াসার এ সুবিধা পেতে আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটের ১২ টাকা ৪০ পয়সা এবং অনাবাসিকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা ব্যয় করতে হয়।
তবে আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে আবাসিকে ইউনিটে ৬২ পয়সা এবং অনাবাসিকে ১ টাকা ৫২ পয়সা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে ২০১৯ সালে পানির দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছিল ওয়াসা। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাতে রাজি না হাওয়ায় গত বছরের পহেলা মার্চ দ্বিতীয় দফা পানির দাম পুনর্নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি।
সাধারণ জনগণ বলেছেন, যে রকম আছে সেটাই তো অনেক বেশি। এখন এটি বাড়ালে তো আমরা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকতে পারব না। এখন বাড়িওয়ালা আমাদের ভাড়া বাড়িয়ে দেবে। গ্যাস বিলও বাড়তি, পানির বিলও বাড়তি। তাহলে মানুষের কষ্ট তো হবেই।
এদিকে ক্যাব বলেছে, ওয়াসার সিস্টেম লস কমিয়ে খরচ কমানোর পাশাপাশি পানি সরবরাহ ও সেবার মান বাড়ানো উচিত।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেছেন, ওয়াসাতে সিস্টেম লসের পরিমাণ কিন্তু ৩০ শতাংশের উপরে। সিস্টেম লস যদি এত বেশি হয়, তাহলে এর মান যে ভাল এটা তো বলা যাচ্ছে না।