টানা তিন দিনের পরিবহন ধর্মঘটে কর্মজীবীসহ চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
রোববার (৭ নভেম্বর) গণপরিবহন সংকটে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহনে গন্তব্যে যেতে গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া। নিরুপায় হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে।
পিকআপেও চলাচল করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে। ধর্মঘটের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীরাও পড়েছেন ভোগান্তিতে।
এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে মহা নগরের বিভিন্ন গ্যাসে চালিত গাড়িতেও ভাড়া বেড়েছে কয়েক গুন ।
যাত্রীদের অভিযোগ, ভাড়া সমন্বয় না করেই হঠাৎ জ্বালানির দাম বাড়ানো আর পরিবহন মালিকদের গাফিলতির কারণেই এমন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ডিজেলের দাম কমানো না হলে কিংবা বাসের ভাড়া না বাড়ালে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহনসংশ্লিষ্টরা।
সড়ক পরিবহনের তথ্য অনুসারে,এছাড়া মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, প্রস্তাব হয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার। এতে ৭০ পয়সা ভাড়া বাড়বে। বাড়তি ভাড়ার এ শতকরা হার ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মহানগরে মিনিবাসের বর্তমান ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি বাড়িয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভাড়া বাড়ে কিলোমিটারপ্রতি ৮০ পয়সা। ভাড়া বৃদ্ধির এ হার ৫০ শতাংশ।