গোটা বিশ্বের করোনার হার কমতে থাকলেও ইউরোপে নতুন করে আবারো বেড়ে চলছে এই ভাইরাস। তিন সপ্তাহ ধরে অর্ধেক বেশি দেশি লাগাতার আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী গত সপ্তাহে সংক্রমণের বৃদ্ধিরহার ছিলো সাত শতাংশ। অথচ করোনার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ইরোপ ছুঁয়েছে মাইলফলক। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী এই মহাদেশ ১০০কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার ইউরোপের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন ইউরোপের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ সুরক্ষিত আছে । তবে তার মতে বর্তমান সংকটের মোকাবেলা করতে ৭০শতাংশ মানুষের করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পাশা[পাশি তুরস্ক ,রাশিয়া ও ইউক্রেনের মতো দেশ গুলোকে তালিকায় রাখতে হবে।ব্রিটেন ,রাশিয়া ,তুরস্ক আপাতত সক্রামণের হার সব চেয়ে বেশি।
রাশিয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন সংস্থারকর্মীদের বাসায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সে দেশের হাসপাতাল গুলো হিমশিম খাচ্ছে। রোমানিয়ার হাসপাতাল গুলোতে নতুন রোগী ভর্তি করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পরেছে।
ব্রিটেনে দিনে একলাখ সক্রমণের আশঙ্ক করা হচ্ছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে আবেদন জানালেও সরকার এখনো সে ভাবে সারা দেয়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে ইউরোপে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ফ্রান্সের সংসদ জরুরীর অবস্থার মেয়াদ ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত রাখছেন।ইতালিতে এই বিধি নিষেদ ডিসেম্বরে শেষ হলেও সংক্রামণের হার না কমা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবেন বলে জানানা।