বিআরটিএ বলছে মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক হয়ে যাওয়ায় এ সব চালকেরা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অ্যাপের বাইরে ভাড়ায় চালালে কঠিন আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিএ এর (রোড সেফটি) পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেছেন, আমি বাসা থেকে অফিসে একা একা আসব। এ সময় কাউকে রাইড সেয়ারিং করে আসলে হয়তো আমার মোটরসাইকেলের খরচটা উঠে আসবে। এ সেবাটাকে বাদ দিয়ে মানুষ এখন ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে তারা যানজটের সৃষ্টি করছে। সড়ক পরিবহন আইনের আওতায় তাদের জেল, জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠাওয়ের মতো মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভাড়ায় যাত্রী চলাচল শুরু করলেও সময়ের বিবর্তনে ভাটা পড়েছে অ্যাপের ব্যবহারে। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে নিজদের দাঁড়ানোর জন্য একটি অঘোষিত লেনও তৈরি করে নিয়েছেন তারা।
এছাড়া রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব বাইকস্ট্যান্ডগুলোতে নিজেরাই নির্ধারণ করে নিচ্ছেন ভাড়া। পুলিশ বলেছে, অনিবন্ধিত উপায়ে মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালানোর সুযোগ দিতে পারে না সরকার। তবে এসব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার মতো কোনো আইন নেই প্রচলিত ট্রাফিক নীতিমালায়।
তবে যানজটের পেছনে তারা দায়ী নন বলে দাবি বাইক চালকদের।
তারা বলছেন, রাস্তার পাশে যদি কোনো জায়গা পাই, সেখানে আমরা পাশ করে দাঁড়াই। দাঁড়ানোর জন্য কিন্তু আহামরি জায়গা লাগে না। আমরা যেখানে রাখি, সেখানে কখনও কোনো গাড়ি আসে না।
করোনা অন্তর্বর্তী সময়ে অনেক মানুষ অভাব অভিযোগের মধ্যে আছে। এখন যদি সরকার এ ধরনের চাপ দেয়, তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে বলে জানান বাইক চালকরা ।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখার দাবি জানিয়েছেন চালকেরা।
Discussion about this post